আমার জাকার্তা ভ্রমন (ইন্দোনেশিয়া) অলিগলি ঘুরে দেখা
জাকার্তা ভ্রমন

আমার জাকার্তা ভ্রমন কাহিনী

ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে আর্কশনীয় স্থান হচ্ছে বালি কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল জাকার্তা ভ্রমন অলি গলি ঘুরে দেখার। তাই এইবার বালি না গিয়ে শুধু জাকার্তাই ঘুরে দেখার প্লান করলাম। সাথে মালশিয়া আর কম্বোডিয়া এড করে একটা প্লান ঠিক করে নিলাম।

প্লান অনুযায়ী মালশিয়ার( ট্রাভেল এজেন্সি দিয়ে) ভিসা করাতে দিলাম টোটাল খরচ নিল ৫৯০০ টাকা। পাসপোর্ট জমা দেয়ার পরের দিন এম্বেসী থেকে ফোন দিয়ে কনফার্ম হিয়ে নিল ভিসার জন্য এপ্লাই করছি কিনা,হ্যাঁ বলার পর পাসপোর্ট এর নাম জানতে চাইলো উত্তর দেয়ার পর বললো ঠিক আছে লাগলে আবার পরে ফোন করব।৭/৮ দিন পর আবার ফোন করে আবার জানতে চাইলো মালশিয়া কেন যাব কার কাছে যাব।সব কিছু সোনার পর বলে আপনার ভিসা হয়ে গেছে কাল এসে পাসপোর্ট কালেক্ট করে নিয়েন।

মালশিয়া ভিসার পর কম্বোডিয়ার ই-ভিসার জন্য এল্পাই করি নিজে নিজেই ভিসা ফি ৩৬ ডলার দেয়ার ১০ মিনিট পর একটা ভিসার কপি পেলাম,যা কম্বোডিয়া এয়ারপোর্টে দেখানোর পর ভিসা দিবে। আর ইন্দোনেশিয়ার জন্য কোন ভিসা লাগে না। বাংলাদেশী পাসপোর্ট এর জন্য অনএয়াইভ্যাল ভিসা।

আমার টিকেটা ছিল মালিন্দ এয়ার এর
ঢাকা-জাকার্তা- কুয়ালালামপুর -নেমপেন-ঢাকা ৩৪০০০ টাকা ট্রাভেলের ২০ দিন আগে টিকেট করা

রাত ১১টায় ঢাকা থেকে ফ্লাইট ৪ ঘন্টা পর মালশিয়ায় সেখানে ২ঘন্টা ট্রানজিট নিয়ে আবার অন্য আরেকটি সকাল ৭:৩৫ এর ফ্লাইটে জাকার্তা যাই।কুয়ালালামপুর থেকে জাকার্তা যেতে সময় লাগে ২ঘন্টা ১০ মিনিট।ইমিগ্রেশনে অনএরাইভ্যাল ফ্রি ভিসার জন্য নিচের কাউন্টার এ যেতে হবে, উপরে একটি কাউন্টার আছে যেখানে ৩৫ ডলার পে করে ভিসা নিতে হয়।ইমিগ্রেশন অফিসার আমার শুধুমাত্র রিটার্ন টিকেট দেখতে চায়।টিকেট দেখে কোন কথা না বলে ভিসা দিয়ে দেয়।ইমিগ্রেশন এর সকল কাজ শেষ করে বের হয়ে প্রথমে ১০০ ডলার এক্সচেঞ্জ করে নেই।এয়ারপোর্টে ডলার রেট একটু কম দেয় তবে বাহিরে ধান্দাবাজ এরিয়ে ভাল কোন রেপুটেড মানি চেঞ্জার থেকে ডলার একচেঞ্জ করে নিবেন।

হোটেল: আমি ঢাকা থেকেই বুকিং ডট কম থেকে হোটেল বুকিং দেই, আমার হোটেল এর খরচ পার নাইট ১,২০,০০০ রুপিয়া।হোটেল টি জাকার্তার সেন্ট্রাল থেকে হেটে জেতে মাত্র ১০ মিনিট লাগে।

ট্রান্সপোর্ট : ট্রান্সপোর্ট এর জন্য Grap ও gojekবেস্ট তাছাড়া চাইলে স্কুটি, লোকাল বাস বা টেক্সি ব্যবহার করতে পারেন।আমি সেখানের লোকাল বাসের স্বাদ নেয়ার জন্য ২বার বাসে জার্নি করি এটাও এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা।এয়ারপোর্ট থেকে সেন্ট্রাল জাকার্তা আসার জন্য আপনি চাইলে grap,gojek ব্যবহার করতে পারেন, ভাড়া পরবে ১,১০,০০০ রুপি এবং রাস্তায় সকল টোল সব মিলিয়ে ১,৩০,০০০ রুপির মত,তাছাড়া বাসে আসতে চাইলে আপনি Airtport to Gambir এই বাস টায় সেন্ট্রাল জাকার্তা চলে আসতে পারবেন, ভাড়া পরবে জনপ্রতি ৪০,০০০ রুপি।

ডলার একচেঞ্জ ও সিম কার্ড: ডলার একচেঞ্জ ও সিম কার্ড কেনার জন্য আপনি serena এরিয়া তে করতে পারেন, এখানে অনেক গুলি মানি চেঞ্জার আছে। এয়ারপোর্টে রেট ছিল ১৪৮০০ রুপি আর এখানে ১৫০০০ রুপি।আর এয়ারপোর্ট সিম এর দাম চেয়েছিল ১৮০০০০ রুপি ৩.৫ গিগা ইন্টারনেট সহ, আর এখান থেকে ৬০০০০ রুপি দিয়ে ৪ গিগা ইন্টারনেট সহ কিনতে পারি।

ঘোরাঘুরি :সেন্ট্রাল জাকার্তায় আপনি National Monument (MONAS),Masjid Istaqlal,Cathedral Church, Sabang Street, MONAS University তে যেতে পারেন।

National Monument (MONAS): মোনাস সকাল ৮টা থেকে রাত ১০ টা প্রর্যন্ত খোলা থাকে তবে সোমবার বন্ধ থাকে ।মোনাস এরিয়াতে ঢোকার জন্য কোন টাকা লাগে না, তবে মোনাস এর ভিতরে যেতে ৫০০০ রুপি আর টপ এ উঠার জন্য ১০,০০০ রুপি লাগে।মোনাস এর টপে উঠার বেস্ট সময় হচ্ছে সন্ধ্যার আগে যাতে একসাথে দিন আর রাতের ভিউ দুইটাই দেখতে পারেন।মোনাস এরিয়া ঘুরে দেখার জন্য সাইকেল এর ব্যবস্থা আছে যা সম্পুর্ণ ফ্রি,শুধু একটা Apps ডাউনলোড দিয়ে স্কেন করে লক খোলা যায়।মোনাস এর আশে পাশে অনেকে খাবারের দোকান আছে তাই খেতে আপনাকে বেশি দূরে যেতে হবে না।ইচ্ছে করলে আপনি সারাদিন মোনাস এ কাটিয়ে দিতে পারবেন।

ISTIQLAL MASJID: মোনাস থেকে হেটেই মসজিদে যেতে পারবেন।এটি দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ। এই মসজিদের ভিতরে ইচ্ছে করলে আপনি কিছু সময় রেস্ট নিতে পারেন।এখানে অসংখ্য মানুষ ঘুমিয়ে থাকতে দেখেছি।এখানে নাড়ী পুরুষের জন্য একই রুমে নামাজের ব্যবস্থা আছে।

Cathedral Church :মসজিদ থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হলেই চার্চটি দেখতে পাবেন।যে কেউ চার্চ এর ভিতরে যেতে পারে। তাই সংকোচ না করে ঘুরে দেখতে পারেন সম্পুর্ণ চার্চটি।

Sabang Street : স্ট্রিটফুড খেতে চাইলে আপনাকে অবশ্বই যেতে হবে সাবাং স্ট্রিটে। এখানে সন্ধ্যার পর থেকে গবির রাত প্রর্যন্ত বেচাকেনা চলে।হরেক রকমের ইন্দোনেশিয়ান ফুড পাবেন। তাই এই জায়গাটা মিসকরবেন না।তাছাড়া ঘুড়ে আসতে পারেন বিয়ার গার্ডেন থেকে,যা হেটেই যাওয়া যায় সাবাং স্ট্রিট থেকে।

আমি ৩দিন ছিলাম জাকার্তায় আমার এয়ার টিকেট বাদে বাংলাদেশী টাকায় সর্বমোট ১২০০০ টাকা খরচ হয়েছিল।৩/৪ জনের গ্রুপে গেলে খরচ আর কমে আসবে।তবে তা নির্ভর করে আপনার হোটেল এর বুকিং এর উপরে।

বিদ্র: আপনি যেখানেই যান না কেন আপনি আপনার পরিবার ,সমাজ এবং দেশকে প্রতিনিধিত্ত করেন।তাই এমন কোন কাজ করবেন না যাতে আপনার,আপনার পরিবারের,সমাজের এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

আমার জাকার্তা ভ্রমন (ইন্দোনেশিয়া) অলিগলি ঘুরে দেখা প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

মূল লেখক: কাজী নিয়াজ মোর্শেদ

Regarding Visa Requirements & Application Process :

Traveltek BD

1301/1 East Monipur,Begum Rokeya Sarani,Mirpur-10

Email:visa@traveltekbd.com

Website: www.traveltekbd.com

Contact with Our Visa Consultant:

Mobile & WhatsApp Number

(+8801610-881122)

Traveltek BD only provide Visa logistics support with your documents. Visa grant is the distinct decision of embassy or consulate of the respective countries.

 

Comments

Leave a Reply