বালি ভ্রমণ (ইন্দোনেশিয়া) নিয়ে তথ্য
বালি ভ্রমণ

বালি ভ্রমণ কাহিনী

আমাদের বালি ভ্রমণ যাত্রায় এবার আমরা তিন জন বাকি দুইজন হলেন লেলিন ভাই আর সুমন ভাই। তারা দুইজন আমার সিনিয়র হলেও সম্পর্কে ফ্রেন্ডলি। লেলিন ভাই পেশায় ডেন্টিস্ট আর সুমন ভাই ব্যবসায়ী
বালি যাওয়ার ৭ দিন আগে মালিন্দ এয়ারে আমার টিকেট করি তাই রিটার্ন টিকেট এর খরচ আর ট্রানজিট একটু বেশি পরে।রিটার্ন টিকেট ৩৫০০০ এবং মালশিয়ায় ট্রানজিট ৬ ঘন্টার বেশি। আর তাদের টিকেট ১৫/১৬ দিন আগে কাটায় ঢাকা-বালি-কুয়ালালামপুর-ঢাকা মাল্টি টিকেট খরচ পরে ৩৯০০০ টাকা বালি যাওয়ার সময় তাদের মালশিয়া ট্রানজিট ৩ ঘন্টা।

আমাদের যাত্রা ১৮/০৩/২০১৯ ঠিক রাত ১২:৫০ এ ফ্লাইট থাকায় আমরা রাত ৯ টার দিকে আমরা ঢাকা এয়ারপোর্টে চলে আসি এবং বোডিং পাশ নিয়ে ইমিগ্রেশন লাইনে দাড়াই।আমি আর সুমন ভাই এক লাইনে আর লেনিন ভাই অন্য লাইনে।কয়েক মিনিটের মধ্যে লেনিন ভাই তার ইমিগ্রেশন পার করে ফেলেন। এবার আমার সিরিয়াল আসে আমি পাসপোর্ট আর বোডিং পাশ দেয়ার পর বলে কই যাবেন আমার উত্তর বালি শুনেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন অফিসার কে ডেকে বলেন স্যার বালি তিনি এসে আমার পাসপোর্ট দেখে তাকে বলেন সিল দিয়ে দেন। তারপর সুমন ভাই পাসপোর্ট দেয়ায় তাকে নিয়ে একটু তালবাহানা শুরু করে কিন্ত মালশিয়ার ভিসা এবং রিটার্ন টিকেট থাকায় সিল দিয়ে দেন।
এরপর আমরা একই সময়ে কুয়ালালামপুর যাই কিন্ত আমার ট্রানজিট বেশি থাকায় তারা আমার ৪ ঘন্টা আগেই বালি পৌছে যায়।কিন্ত আবার ঝামেলা শুরু হয় বালি এয়ারপোর্টে।

তাদের ইমিগ্রেশন করার সময় বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখে ইট্রিগেশন রুমে নিয়ে গিয়ে দুইজনের কাছে ৫০০+৫০০ করে ১০০০ ডলার ঘুষ দাবি করে।নাদিলে দেশে ফেরত পাঠায়ে দিবে।পরে তারা ১০০ ডলার দিয়ে এন্ট্রি নেয়।
আমি সন্ধ্যায় আসি তখন আমার সাথে আর এক বাংলাদেশি ভাই ছিল প্লেনে পরিচয় আমাদের কেও নিয়ে ইন্ট্রিগেশন রুমের কাছে কিছুক্ষন বসায়ে রাখে এবং পাসপোর্ট নিয়ে যায় কিন্ত কোন কিছু না বলে পরে পাসপোর্টে এন্ট্রি সিল দিয়ে দুইজন কেই পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেয়।
সিম ও ডলার চেঞ্জঃ
এয়ারপোর্টে নেমেই সিম এবং ডলার চেঞ্জ করতে পারবেন।কিন্ত এয়ারপোর্টে সিম এর দাম একটু বেশি আর ডলার রেট একটু কম পাবেন। তাই এয়ারপোর্টে যত কম ডলার এক্সেঞ্জ করবেন তত ভাল।তবে সিটির ভিতরে Authorized এজেন্সি ছাড়া ডলার চেঞ্জ করলে ধোকা খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনেকে লোকাল দোকান আছে তারা অথরাইজড এজেন্সি থেকে বেশি অফার করে।
থাকবেন কইঃ
বালিতে আমাদের হোটেল ছিল কুটা বীচ এরিয়াতে এয়ারপোর্ট থেকে টেক্সি কন্টাক নিলে ১,৫০,০০০ রুপিয়া কিন্ত Grab নিলে টেক্সিতে ৩৫,০০০ রুপিয়া আর বাইক নিলে ৮০০০ রুপিয়া। বালিতে আমরা সর্বমোট তিন রাত তিন রাত তিনটি হোটেলে ছিলাম The Tusita Hotel bali,Nuka Beach Inn & Alron Hotel. এতগুলি হোটেল চেঞ্জ করার কারন সম্পূর্ন ঘটনা পরলে যানতে পারবেন।আমাদের হোটেল থেকে বীচ ৪/৫ মিনিট লাগে হেটে যেতে তাই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়েই আগে চলে গেলাম বীচ দেখতে। কিছুক্ষন পর শুরু হল বৃস্টি তাই ইচ্ছে না থাকা সত্যেও আমাদের কে বীচ থেকে চলে আসতে হয় তখন বাজে রাত ১১ টা তাই বৃস্টির মধ্যেই একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে ডিনার শেষে হোটেলের সুইমিংপুলের ঘন্টাখানিক ভিজে ঘুমাতে চলে গেলাম।।
ট্রান্সপোর্ট এবং খাওয়া দাওয়াঃ
বালিতে ইচ্ছে করলেই স্কুটি ভাড়া নিতে পারেন এর জন্য আপনাকে ৬০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ রুপিয়া স্কুটি উপর নির্ভর করে সারাদিন এর জন্য।এছাড়া তেল খরচ আপনাকেই বহন করতে হবে।খাওয়ার জন্য আপনি ইন্দোনেশিয়ার যে কোন রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন আমার কাছে সব খাবার ই মজাদার মনে হয়েছে,।তাছাড়া ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে আছে সেখানে খেতে পারেন।

বালি ভ্রমণ এডভেঞ্চারঃ
বালিতে এডভেঞ্চার এর কমতি নেই আপনি কোনটা রেখে কোন করবেন তা নিয়ে দিধাদন্দে পড়ে যেতে পারেন। যার মধ্যে কয়েকটি আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী করে নিতে পারেন।তবে কয়েকটি ট্রুর অপারেটর এর সাথে কথা বলে দাম যাচাই বাচাই করে নিতে পারবেন।এর পর যে কম্পানির টা বেস্ট মনে হবে সেটাই নিতে পারেন।তবে এই এডভেঞ্চার গুলি অবশ্যই বালিতে ট্রাই করবেন prasalailing,Banana Boat,Snorkelling, Sea walker,Squba Diving,এইগুলোর জন্য ৫,০০,০০০ থেকে ৮,০০,০০০ রুপিয়া খরচ হতে পারে।তাছাড়া আপনি চাইলে Turtle Island, Sangeh village cycling, Rafting,Tree top Adventure,Flying Fox এই সব করতে পারন।এছাড়াও বালির নাইট লাইফ ইঞ্জয় করার জন্য Sky Garden চলে যেতে পারেন।
ট্রান্সপোর্ট এবং খাওয়া দাওয়াঃ
বালিতে ইচ্ছে করলেই স্কুটি ভাড়া নিতে পারেন এর জন্য আপনাকে ৬০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ রুপিয়া স্কুটি উপর নির্ভর করে সারাদিন এর জন্য।এছাড়া তেল খরচ আপনাকেই বহন করতে হবে।খাওয়ার জন্য আপনি ইন্দোনেশিয়ার যে কোন রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন আমার কাছে সব খাবার ই মজাদার মনে হয়েছে,।তাছাড়া ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে আছে সেখানে খেতে পারেন।
বালি ভ্রমণ এডভেঞ্চারঃ
বালিতে এডভেঞ্চার এর কমতি নেই আপনি কোনটা রেখে কোন করবেন তা নিয়ে দিধাদন্দে পড়ে যেতে পারেন। যার মধ্যে কয়েকটি আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী করে নিতে পারেন।তবে কয়েকটি ট্রুর অপারেটর এর সাথে কথা বলে দাম যাচাই বাচাই করে নিতে পারবেন।এর পর যে কম্পানির টা বেস্ট মনে হবে সেটাই নিতে পারেন।তবে এই এডভেঞ্চার গুলি অবশ্যই বালিতে ট্রাই করবেন prasalailing,Banana Boat,Snorkelling, Sea walker,Squba Diving,এইগুলোর জন্য ৫,০০,০০০ থেকে ৮,০০,০০০ রুপিয়া খরচ হতে পারে।তাছাড়া আপনি চাইলে Turtle Island, Sangeh village cycling, Rafting,Tree top Adventure,Flying Fox এই সব করতে পারন।


বালির এডভেঞ্চার শেষ করে আপনি Gili, Nusa Panida,Ubud যেতে পারেন। এইসবগুলি এক একটা দ্বীপ। এই দ্বীপ গুলিতে যেতে হলে Fast Boat এ করে যেতে হয়, প্রতিটি হোটেল,বা ট্রুর অপারেটর কম্পানির কাছ থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।আমরা প্রথমে বালি থেকে গিলি যাই।
ফাস্ট বোটে গিলি যাত্রাঃ
বালি থেকে গিলি যাওয়ার জন্য আমরা Eka jaya fast boat এর অফিসে গিয়ে সরাসরি টিকেট কাটি।আমাদের টিকেট ওয়ান ওয়ে ছিল কারন আমাদের প্লান ছিল গিলি থেকে Nusa panida যাওয়ার।ফাস্ট বোটের জন্য ওয়ান ওয়ে টিকেটের জন্য আমাদের কাছে জনপ্রতি ৫,০০,০০০ রুপিয়া চেয়েছিল আমরা ৩,৫০,০০০ এ প্রতি জনের জন্য ঠিক করি।আমাদের টিকেটের সাথে হোটেল থেকে Padanbai Harbour (ফেরিঘাট) ড্রপ ইনক্লুড ছিল।গিলি থেকে আশার সময়ে আমাদের kurunajaya fast boat এ ২,২০,০০০ প্রতি জনের টিকেট পাই বালিতে হোটেল পিকাপসহ।
গিলি যাত্রাঃ
গিলি নামে মুলত তিনটি দ্বীপ রয়েছে। Gili Trawangan,Gili Meno,Gili Air.আমাদের টিকেট করা হয়েছিল Gili Trawangan এর জন্য সকাল ৯টার বোটের তাই আমদের কে সকাল ৬টার মধ্যে রেডি হয়ে থাকতে বলেছিল। কারন ৬ঃ১৫ তে আমাদের কে পিক আপ করার জন্য গাড়ি আসবে।আমরা সকাল ৬টায় রেডি হয়ে হোটেল চেক আউট করে রাস্তায় দাড়ায়ে থাকি গাড়ির জন্য। অনেক ক্ষন অপেক্ষার পর সকাল ৬ঃ৫০ আমাদের নিতে গাড়ি আসে। আমাদের হোটেল থেকে padangbai Harbour যেতে সময় লাগছে ১ঃ৪০ মিনিট এর মত। এর পর আমাদের কে একাজয়া বোট অফিস থেকে Gili Trawanan এর স্টিকার দিয়ে দিল আমরা চলে গেলাম ফেরিঘাট।গিয়েই দেখি আমাদের বোট রেডি তাই দেরি না করে বোটে উঠে গেলাম কিছুক্ষণ পর বোট ছেড়ে দিল।আমরা আনুমানিক ১১ টার দিকে গিলি পৌছে যাই।
গিলি এডভেঞ্চারঃ
গিলি গেলে অবশ্বই দুইরাত থাকার চেস্টা করবেন।আমাদের যেহেতু আগেই হোটেল বুকিং করাছিল। তাই বোট থেকে নেমে সরাসরি হোটেলে চলে যাই।আমাদের হোটেল ফেরীঘাট থেকে ৫মিনিট হাটার দূরত্ব ছিল।গিলিতে নেমেই অবাক হলাম কারন এইখানে কোন গাড়ি চলে না।শুধু সাইকেল আর ঘোড়ার গাড়ি।হোটেল গিয়ে ফ্রেশ হয়েই হোটেল থেকে ২৫,০০০ রুপিয়া দিয়ে সারাদিন এর জন্য সাইকেল ভাড়া করে নেই। তারপর সাইকেল দিয়ে সারাদ্বীপটি ঘুরে দেখি। দুপুরে সমদ্রের পারে বসে সীফুড দিয়ে লাঞ্চ সেরে নেই। কিছুক্ষন পর আবার সাইকেল নিয়ে গিলি সুন্দর্য উপভোগ করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়েছিল বুঝতেই পারি নাই।তারপর সাইকেল হোটেলে জমা দিয়ে সমুদ্রের পার বসে থাকি এবং ডিনার শেষে একটু বিচে হাটাহাটি করে রাত ১২টার দিকে ঘুমাতে চলে যাই।পরের দিন সকালের হোটেল থেকে ব্রেকফাস্ট করে snorkelling করার জন্য চলে যাই। snorkelling করার জন্য আমরা পারপার্সন ৭০,০০০ রুপিয়া দিয়ে টিকেট কাটি।সকাল ১০ঃ৩০ আমাদের যাত্রা শুরু তাই আমরা ১০ টায় গিয়ে আমরা snorkelling করার এক্সোসরিস নিয়ে নেই। আমাদের সর্বমোট চারটি স্পট দেখায় এরপর লাঞ্চ করার জন্য Gili Air এর এক রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়।লাঞ্চ শেষ করে বোটে করে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে আবার চলে আসি Gili Trawangan আমাদের হোটেল। এরপর কিছুক্ষন ঘুমায়ে আবার চলে যাই গিলি নাইট বোট পার্টিতে।সারারাত পার্টি শেষে সকাল হোটেলে আসি। ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট বালির জন্য বেরিয়ে পরি।


গিলি থেকে আমাদের আমাদের বোট ছিল ১১টায় আমরা padangbai Harbour এসে নামি ১টার দিকে এরপর আমাদেরকে গাড়িতে করে নিয়ে যায় আগে থেকেই বুকিং করা Alron Hotel এ।গাড়িতে এসি না থাকায় একদম বেহাল অবস্থা হয়েগিয়েছিল হোটেল চেকিং করার সময় ওয়েলকাম ড্রিংস হিসেবে আইস টি পাওয়া মনে হয়েছিল আবার প্রান ফিরে পেলাম। রমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে হোটেলেই লাঞ্চ করে নিলাম।এরপর আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখলাম। রাত ৮ টা থেকে বৃস্টি শুরু হয় তাই বেশিক্ষণ বাহিরে থাকতে পারলাম না হোটেলে এসে ১ঘন্টার মত সুমিং পুলে মজা করলাম। তখনো বৃস্টি হচ্ছিল তাই এইরাতে আর বের না হয়ে হোটেলেই কাটিয়ে দিলাম। পরের দিন সকাল ৮টায় ফ্রেশ হয়ে হোটেলে চেক আউট করে সরাসরি এয়ারপোর্টে চলে আসলাম। সকাল ১১টায় আমাদের ফ্লাইট ছিল মালিন্দ এয়ারে।আনুমানিক ২ঃ৩৫ এ আমরা কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করি। আমার সাথে থাকা দুইজন ইমিগ্রেশন সম্পূর্ন করে মালশিয়া চলে যায়।আর আমি অপেক্ষা করতে থাকি ঢাকায় আসার জন্যে আমার নেক্সট ফ্লাইটের।অনেকক্ষন ট্রানজিট থাকা আমি এয়ারপোর্টটি সম্পুর্ন ঘুরেদেখি এরপর আমার ৯ঃ৩৫ এর ফ্লাইট ১০ঃ০৫ ছাড়ে বাংলাদেশ সময় ১২ দিকে ঢাকায় আসি। ইমিগ্রেশন শেষ করে উবার নিয়ে বাসায় এসে ডিনার শেষে সোজা ঘুমাতে চলে যাই।

বিদ্র: আপনি যেখানেই যান না কেন আপনি আপনার পরিবার ,সমাজ এবং দেশকে প্রতিনিধিত্ত করেন।তাই এমন কোন কাজ করবেন না যাতে আপনার,আপনার পরিবারের,সমাজের এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
বালি ভ্রমণ (ইন্দোনেশিয়া) নিয়ে তথ্য প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।
মূল লেখক: কাজী নিয়াজ মোর্শেদ

 

Regarding Visa Requirements & Application Process :

Traveltek BD

1301/1 East Monipur,Begum Rokeya Sarani,Mirpur-10

Email:visa@traveltekbd.com

Website: www.traveltekbd.com

Contact with Our Visa Consultant:

Mobile & WhatsApp Number

(+8801610-881122)

Traveltek BD only provide Visa logistics support with your documents. Visa grant is the distinct decision of embassy or consulate of the respective countries.

Comments

Leave a Reply